প্রতিদিন ১ টি করে ডিম খেলে লাভনীয় হবেন। ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?
খাদ্য হিসেবে ডিমের উপকারিতা:
নিম্নোক্ত উপাদান গুলোর উৎস ডিম :
- প্রোটিন
- ভিটামিন ডি
- ভিটামিন এ
- ভিটামিন বি2
- ভিটামিন বি12
- ফোলেট
- আয়োডিন ।
দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া যাবে ?
- তেমন কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই ।
- সুষম খাদ্য হিসেবে ডিমে বেশি লবণ , তেল ,বাটার না দেয়া ভালো ।
- এতে ডিমের ফ্যাট আরো বেড়ে যাবে ।
- সবজি যেহেতু ফ্যাট হজমে বাধা দেয় , তাই ডিমের সঙ্গে সালাদ বা সবজি খাওয়া ভালো।
ডিম রান্নার স্বাস্থ্যকর নিয়মাবলী :
- হালকা আঁচে ডিম রান্না করুন ।যদি পুরো ক্যালরী টা পেতে চান তবে পোচ বা সেদ্ধ খান ।
- ডিমের সাথেই সবজি খান ।
- ভেজে খেলে heat stable oil যেমন, EV olive oil , Sunflower oil দিয়ে ভাজুন ।
- যথা সম্ভব পুষ্টিকর ডিম কিনুন , দেশীয় ,অর্গানিক ইত্যাদি ।
- বেশিক্ষণ রান্না হলে এর ক্যালরি কমে যাবে।
সঠিক ডিম সংরক্ষণ পদ্ধতি:
- ঠান্ডা শীতল ও শুষ্ক নিরাপদস্থানে রাখুন । ঘরের ফ্রিজ ই এটার উপজুক্ত জায়গা ।তাপমাত্রা 20' সে এর নিচে রাখলে ভালো ।
- ডিম হতে ময়লা বা জীবাণু যাতে অন্য খাদ্যে বা পাত্রে বা তাকে না যায় খেয়াল রাখুন ।সে জন্য egg tray ভালো ।
- ডিমে ময়লা থাকলে ভালোভাবে সেদ্ধ করুন ,
- কাচা বা অল্প সেদ্ধ, বা পোচ ফুড পয়জনিং এর অন্যতম কারণ ।
- কাস্টার্ড বা কেক যেসব খাবারে ডিম থাকে, দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না । না খেলে দ্রুত ফ্রিজে রাখুন ।
হৃদরোগ , কোলেস্টেরল ও ডিমের সংশ্লিষ্টতা:
কোলেস্টেরল শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । কোষ আবরণীর জন্য এটা গাঠনিক অনু এবং টেস্টোস্টেরন ,ইস্ট্রোজেন ও কর্টিসল এর মত হরমোন উৎপাদনে কাজে লাগে । আমাদের খাদ্যে কোলেস্টেরল বেশি হলে লিভার নিজ থেকে এর উৎপাদন কমিয়ে দেয় ।
মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল হার্টের জন্য ক্ষতিকর , হার্ট ফাউন্ডেশন এর মতে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দিনে 300 ও হৃদরোগীদের জন্য 200 মিলিগ্রাম বৈধ ।
দুটো সম্পূর্ণ ডিমে 422 মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে যেখানে একশত গ্রাম বিফে 88 মিলিগ্রাম থাকে । অন্য কোন চর্বি না খেলে দিনে একটি ডিম হৃদরোগীর জন্য বৈধ, সেটা না চাইলে এর কুসুম বাদ দিয়ে খেলেই চলবে ।
কাঁচা ডিম ও ফুড পয়জনিং:
যদিও আমরা ছোটবেলায় অনেক কাচা ডিম খেয়েছি , কিন্তু কেনা ডিম কাচা , অল্প ভাজা বা অল্প সেদ্ধ খাওয়া যাবে না । শিশু ,গর্ভবতী, বৃদ্ধরা কাচা ডিম হজম করতে পারেনা ।
সালমানেলা নামক একপ্রকার জীবাণু কাঁচা ডিমে পাওয়া যায় , যা ফুড পয়জনিং , typhoid , এসবের জন্য দায়ী ।
পাস্তুরিত ডিম বলে পশ্চিমে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ডিম পাওয়া যায় । এটা গোটা, তরল, শুকনো বা ফ্রোজেন ও হতে পারে । শিশু বা বৃদ্ধদের এই ডিম হালকা পোচ করে খাওয়ানো যায় ।
যে সকল খাদ্যে কাঁচা ডিম থাকে:
- ঘরে তৈরি মেয়নেজ
- সালাদ ড্রেসিং
- আইস ক্রিম
- চুলের জেল
উপরোক্ত খাবারগুলো ঘরে বানালে পাস্তুরিত ডিম নিরাপদ ।
বানিজ্যিক ভাবে উপরোক্ত খাবারগুলো তৈরির আগে ফুড সেফটি department থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী ডিমকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করে নিতে হয় ।
ডিম কতদিন ঘরে রাখা নিরাপদ :
সর্বোচ্চ 28 দিন । এর আগে যদি যথেস্ট ডিম থেকে যায় তবে কেক বা কারী বানিয়ে খেয়ে ফেলুন ।
0 Response to "প্রতিদিন ১ টি করে ডিম খেলে লাভনীয় হবেন। ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?"
Post a Comment