অশ্বগন্ধার উপকারিতা কী কী? সব বয়সের সবাই কি খেতে পারেন?
অশ্বগন্ধা নামের চিরহরিৎ গুল্মটি মূলত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল যেমন, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাট ও রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জন্মায়। এ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের শুষ্ক অঞ্চল এবং আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার কোনও কোনও অংশে অশ্বগন্ধা গাছ দেখা যায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তানে এই গুল্ম ভাল ভাবেই পরিচিত। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভেষজ অ্যাডাপটোজেন অশ্বগন্ধা, অন্যান্য বিখ্যাত ভেষজ টনিক জিনসেং, অ্যাসট্রাগালুস, ডং কুয়াই, রেইশি মাসরুম ও সুমার সঙ্গে তুলনীয়। তাই কেউ কেউ এদের ‘ভারতীয় জিনসেং’ কিংবা ‘শীতের চেরি’ বলেও উল্লেখ করে থাকেন। বিদেশে ‘পয়জন গুজবেরি’ কিংবা ‘উইনটার চেরি’ নামেও এর পরিচিতি আছে। ‘অশ্বগন্ধা’ নামটি এসেছে ঘোড়ার গায়ের তীব্র গন্ধের সঙ্গে এই গাছের শিকড়ের গন্ধের অদ্ভুত সাদৃশ্যের কারণে। ‘অশ্ব’ আর ‘গন্ধ’ দুটি শব্দই সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতের সনাতন ‘আয়ুর্বেদ’ শাস্ত্রের নয়নমণি হয়ে রয়েছে এই ভেষজ। মনে করা হয়, নিয়মিত অশ্বগন্ধ গ্রহণ করা হলে অশ্বের মতো শক্তি ও পুরুষকার অর্জন করা যায়। এই গুল্মের বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইদেনিয়া সোমনিফেরা’ (Withania somnifera)। ‘সোমনিফেরা’ একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ ‘ঘুমে প্রভাব বিস্তারকারী’।
0 Response to " অশ্বগন্ধার উপকারিতা কী কী? সব বয়সের সবাই কি খেতে পারেন?"
Post a Comment