নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে এগুলি করুন (How to be smart)
How to smart
নিয়মিত সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন
সকালে তাড়াতাড়ি উঠলে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে। এবং সারাদিনের কাজ কর্ম ভালো ভাবে করতে পারবেন।
পড়াশুনা করুন
নিজেকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম শর্তই হচ্ছে পড়াশুনা করা। কারন পড়াশুনা আপনার জ্ঞানের চোখ খুলে দিবে। এই পড়া হতে পারে একাডেমিক, হতে পারে অন্য যে কোনো কিছু। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত ৫/১০/১৫ পাতা পড়েন তবে নতুন অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবেন। এই জ্ঞান আপনাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
নিজেকে জানুন
নিজেকে জানার বিকল্প কিছু হতে পারেনা। প্রতিটি মানুষেরই নিজের সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকতে হবে। এখন প্রশ্ন হতে পারে নিজের সম্পর্কে কি জানবো? জানতে হবে নিজের শক্তিশালী পয়েন্ট, দুর্বলতা, উন্নতি করার জায়গা। এইগুলো যদি আপনি বের করতে পারেন এবং সমাধান করতে পারেন, তাহলে আপনাকে আটকে রাখার শক্তি কারো নেই।
রিডিং ক্লাস করুন
দ্রুত, স্পষ্ট উচ্চারণে রিডিং পড়তে হবে। স্কুলে এই জন্যই র্যাপিড রিডিংয়ের ক্লাস রাখা হত।
সবার সাথে কথা বলার সময় নিজের বক্তব্য রাখুন
আড্ডার আসরে চুপচাপ ভিজে বেড়াল হয়ে থাকলে চলবে না। একটু কইয়ে-বইয়ে হতে হবে।
নিজের বুদ্ধি কাজে লাগান
অন্যের কথায় নেচে ওঠা হল ক্যাবলামির সবচেয়ে বড় লক্ষ্মণ। তাই সকলের কথা শুনবেন, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করবেন তার পর মুখ খুলবেন।
গ্রূপ ডিসকাশন অংশগ্রহন করুন
বন্ধু-বান্ধব কিংবা পারিবারিক আড্ডায় নিয়মিত অংশগ্রহন করুন। ইনফরমাল এইসব আড্ডা হতে পারে জ্ঞান বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উৎস। একটা কথা খুব প্রচলিত, “আপনি টং এ বসে আড্ডায় যা শিখবেন, তা বই পড়ে শিখতে ৩ দিন লাগবে।” এ থেকেই বুঝা যায় গ্রুপ ডিস্কাশনের গুরুত্ত। আড্ডায় বসে তর্ক-বিতর্ক করা আপনার যুক্তি-খন্ডন জ্ঞান অনেক বৃদ্ধি করবে।
খেলাধুলায় অংশগ্রহন
খেয়াল করে দেখবেন, খেলোয়াড়রা কিন্তু অন্য সবার চেয়ে মোটামুটি বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকেন। এর পেছনে কারন হচ্ছে দল হিসেবে অংশগ্রহন, খেলায় জেতার চাপ নেয়া, ইন্সট্যান্ট বুদ্ধি খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে ধোকা দিয়ে ফায়দা নেয়া। এ সবই করতে হয় আত্মবিশ্বাসের সাথে। নিয়মিত দলগত কাজ আপনাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলবে।
শারিরিক চর্চা
সারাদিন আমরা যাই করি না কেনো নিয়মিত শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। সুস্থ দেহ, সুন্দর মন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারিরিক ব্যায়াম করেই দেখুন নিজের ভেতর কি কি পরবর্তন আসে। শরীর যদি ভালো থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্মার্ট দেখাবে।
জ্ঞান বাড়াতে
নিজের জ্ঞান বাড়াতে হবে, না হলে ওপরচালাক হয়েই থেকে যাবেন, স্মার্ট আর হবেন না।
ঘুরতে বের হন
চেষ্টা করুন যেনো একঘেয়েমি আপনাকে ধরতে না পারে। প্রতি ১/২ সপ্তাহ পর পর বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হন। দূরে বা কাছে যেখানেই হোক না কেন, একসাথে কিছু সময় কাটান। অবশ্যই আপনার একঘেয়েমি দূর হয়ে যাবে। মন যতো ফুরফুরে থাকবে , আপনাকে দেখে ততো স্মার্ট মনে হবে।
পরিষ্কার এবং মানানসই কাপড় পড়ুন
আপনি দেখতে যেমনই হোন না কেনো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে দেখতে সুন্দর লাগবে, মন ভালো থাকবে। চেষ্টা করুন নিজের চেহারা এবং শরীরের সাথে মানানসই কাপড় পরিধান করতে। মনে রাখুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই সবচেয়ে বড় স্মার্টনেস।
সুন্দর করে কথা বলুন
আপনার স্মার্টনেস ফুটে উঠে সুন্দর কথাবার্তায়। শুদ্ধ উচ্চারনে কথা বলতে নিয়মিত কথা বলা চর্চা করুন। কোনো পার্টনার না পেলে একা একাই কথা বলুন, দেখুন নিজেকে কেমন আত্মবিশ্বাসী মনে হয়।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বুদ্ধিও ঝরঝরে থাকে। দেখেননি ওই জন্য ফেলুদা নিয়মিত ব্যায়াম করে। শরীর ফিট থাকলে চলাফেরায় আপনিই স্মার্টনেস এসে যায়।
নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান
নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোও জরুরি। প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজেকে দেবেন। সারাদিনে কী কী ভুল করলেন সেগুলো নিজেই নিজেকে বলবেন যাতে পরে আর সেই ভুলগুলো না হয়।
কিছু ভাষা শিখে ফেলুন
বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি তিনটে ভাষায় পোক্ত হয়ে উঠুন। পারলে আর একটা বিদেশি ভাষাও শিখে ফেলুন আর সুযোগ বুঝে টুকটাক কথার মধ্যে গুঁজে দিন মন আমর, বঁজু, ওলা, চাও ইত্যাদি।
ধৈর্য্য ধারন করুন
যেকোনো পরিস্থিতি ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করে সমাধান করার মাঝেই স্মার্টনেস ফুটে উঠে। তাই যতোই বিপদ আসুক না কেনো, পরিস্থিতি সামলাতে ধৈর্য্য ধারন করুন। প্রয়োজনে নিয়মিত মেডিটেশন করুন, কাজে দিবে।
এছাড়াও আরো নানা উপায়ে আপনি আপনার স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলতে পারেন। উচ্চ-বাচ্চ্য না করে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করুন, নিজেকে আরো বড় করে গড়ে তুলুন।
টেকনোলজিকালি চ্যালেঞ্জড হয়ে থাকবেন না। অন্তত নিজের স্মার্টফোনটি স্মার্টলি ব্যবহার করতে শিখুন।
0 Response to "নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে এগুলি করুন (How to be smart)"
Post a Comment