সকালে খালি পেটে জল খেলে কি কোনো উপকার হয়?

আমি এই প্রশ্নের ছয় নম্বর উত্তরদাতা। আমার পূর্ববর্তী উত্তরদাতারা খুব সুন্দর ভাবে সকালে খালিপেটে জল বা পানি খাওয়ার উপকারিতা বিশ্লেষণ করেছেন। সুতরাং নতুন করে কিছু আমার আর বলার নেই। আমি খালি পেটে জল খাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উল্টো পাল্টা ভাবে জল খেলে তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। কম জল খেলে যেমন বিভিন্য শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনি অত্যাধিক জল খেলেও কিডনির গুরুতর সমস্যা হয়।

আমরা যারা রেইকি অভ্যাসের মাধ্যমে নিজেদের শরীর চর্চা ও রেকির দ্বারা বা স্পর্শের দ্বারা রোগ নিরাময় করি তারা খুব গুরুত্বের সাথে এটা প্রতিদিন প্রাকটিস করেথাকি।

জাপানিস ওয়াটার থেরাপি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসী মুখে 1লিটার 26 মিলিলিটার বা 1.26 লিটার জল পান করতে হবে।

এরপর 10 মিনিট বুকভোরে নিঃস্বাস নেওয়া ও ছাড়া করে যেতে হবে। শুধু জোরে নিঃস্বাস নেওয়া আর ছড়া। নিঃস্বাস ধরে রাখা বা কুম্ভক অথবা প্রাণায়াম কিন্তু নয়। পেটের জল শরীরের প্রতিটা কোষে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশে এই অতি মাত্রায় অক্সিজেন নেওয়া হয়।

এর আধ ঘন্টা পর ব্রেকফাস্ট করবেন। কারণ আধ ঘণ্টা কিছু খাওয়া যাবে না।

এরপর সারাদিন তৃষ্ণা অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবে যেমন জল বা পানি খান তেমন খাবেন। আর কোনো নিয়ম নেই।

বিদ্র:

1.প্রাকটিস চলাকালীন প্রস্রাব বা মলত্যাগ করার প্রয়োজন অনুভব করলে অবশ্যই তা সেরে আসুন। প্রাতঃকৃত সেরে এটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কখনো চেপে রাখবেনা।

2. বাসী মুখে কারন, সারারাত ঘুমের পর মুখে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় সেটা আরার গ্রহণ করে শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানো।

3. এর উপকারিতা মাত্র 7 দিনের মধ্যেই ত্বকের পরিবর্তনের মাধমে বুঝতে পারবেন।

4. জলের মাপ 1.26ই হতে হবে, এটা প্রথমেই ব্যবস্থা করে নেবেন।

5. আমার রেইকি গুরু শ্রী অমর কুমারের (রেইকিকেন্দ্রে কলকাতা) মতে 21 দিন টানা করলে এটা সারাজীবনের অভেসে পরিণত হবে।

6. উপকার পাওয়ার পরে অন্যদের মধ্যে এটা প্রচার করে জনসেবা করতে ভুলবেননা।